চীনের নতুন হাইপারসনিক YJ-19: দক্ষিণ চীন সাগরে শক্তির প্রদর্শনী
চীন সম্প্রতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজ করেছে। এর মূল লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে বার্তা দেওয়া যে, দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান ইস্যুতে তারা এখন প্রযুক্তিগতভাবে অগ্রসর। এ প্রদর্শনীর সবচেয়ে আলোচিত অংশ ছিল নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র YJ-19।
এটি বিশ্বের প্রথম এয়ার-ব্রিদিং প্রযুক্তি নির্ভর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্র ভেতরে অক্সিজেন বহন করে ওজন বাড়ায়, কিন্তু YJ-19 বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে, ফলে হালকা, দ্রুত ও দীর্ঘপাল্লার হয়।
এর প্রাথমিক গতি ম্যাক ৬, আর লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে গিয়ে গতি বাড়ে ম্যাক ১০ পর্যন্ত। এত দ্রুতগতির কারণে Patriot, Aegis, THAAD-এর মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে।
এটি মূলত অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, যার টার্গেট বড় যুদ্ধজাহাজ, এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার, উপকূলীয় ঘাঁটি ও সমুদ্রে ভাসমান স্থাপনা। দক্ষিণ চীন সাগরে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলো সরাসরি এর আওতায় পড়ে।
চীন স্পষ্ট জানিয়েছে: “তাইওয়ান ঘিরে সব প্রতিবেশী এবং মার্কিন ঘাঁটিগুলো আমাদের নজরে।” এর মানে, যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্ররা যদি তাইওয়ানকে সহায়তা করতে চায়, তবে তাদের ঘাঁটি ও নৌবহর চীনের হাইপারসনিক হুমকির মুখে থাকবে। অর্থাৎ তাইওয়ানের চারপাশের যেসব দেশ মার্কিন ঘাঁটি ব্যবহার করে (যেমন ফিলিপাইন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া), তারা যদি তাইওয়ান রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করে, তবে তাদের ঘাঁটিও টার্গেটে থাকবে।
© তালহা জুনায়েদ
মেম্বার, সমরাঙ্গন